বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত মি. আচিম ট্রস্টারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। বৃহস্পতিবার
(১৯ জুন) দুপুরে রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে উভয়পক্ষ বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, সুষ্ঠু নির্বাচন, গণতন্ত্রের স্থায়িত্ব, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। জামায়াতের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয় পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যেগুলোর মাধ্যমে দলটি বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও অর্থনীতিকে অর্থবহ ও টেকসই করার লক্ষ্যে কাজ করছে বলে উল্লেখ করা হয়।
সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান।
বৈঠক শেষে অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং জার্মানি-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কসহ সামগ্রিক বিষয়ের ওপর ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।”
ডা. শফিকুর রহমান এসময় বলেন, “গণতন্ত্রকে অর্থবহ ও টেকসই করতে এবং দেশে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে জামায়াত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা চাই দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে উঠুক, যেখানে নাগরিকরা ইনসাফ ও মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে পারবে।”
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষা হচ্ছে ভবিষ্যৎ নির্মাণের ভিত্তি। জামায়াত শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে যাতে করে ভবিষ্যতের যোগ্য নাগরিক গড়ে তোলা যায়।”
অর্থনৈতিক দিক থেকে জামায়াত আমির বলেন, বাংলাদেশ-জার্মানির মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও গভীর ও ফলপ্রসূ হতে পারে। বিশেষ করে গার্মেন্টস রপ্তানি এবং জার্মান পণ্য, বিশেষত মেডিকেল সরঞ্জাম আমদানির ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানো দরকার।
রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার বৈঠকে বলেন, “গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংলাপ ও সহনশীলতা অপরিহার্য। মানুষ হত্যা বা সংঘাতের মাধ্যমে গণতন্ত্র আসে না, বরং এর জন্য প্রয়োজন অ্যাকোমোডেটিং মানসিকতা ও রাজনৈতিক ঐক্য।” তিনি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপরও জোর দেন।