মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষে। ইসরায়েল সম্প্রতি ইরানে একটি শক্তিশালী হামলা চালিয়েছে, যাতে দেশটির একাধিক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী ও সামরিক নেতারা প্রাণ হারিয়েছেন। এর পাল্টা জবাব হিসেবে ইরানও ইসরায়েলের ভেতরে হামলা চালিয়েছে। এমন সংঘর্ষের মধ্যেই ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধানকে হত্যা করেছে।
এই সংঘর্ষের পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি জনসমক্ষে অনুপস্থিত হয়ে পড়েন এবং তাকে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাজধানী তেহরানের বাইরের একটি ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে সরিয়ে নেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি যুদ্ধকালীন সব ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (IRGC) সুপ্রিম কাউন্সিলের কাছে।
খামেনির এই পদক্ষেপকে অনেক বিশ্লেষক দেখছেন ভবিষ্যতের নেতৃত্ব নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত হিসেবে। অনেকে মনে করছেন, এটি শুধু একটি সাময়িক পদক্ষেপ নয়, বরং ইরানে সম্ভাব্য নেতৃত্ব পরিবর্তনের প্রস্তুতিরই অংশ। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে, ইরান যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করেনি, তবে দেশের ভেতরে এক ধরনের জরুরি অবস্থা চলছে বলে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন।
এদিকে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, তারা খামেনির অবস্থান শনাক্ত করেছেন, তবে এখনই তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা নেই। তিনি বলেন, “আমরা চাই না নিরীহ মানুষ কিংবা মার্কিন সেনারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হোক, কিন্তু আমাদের ধৈর্য শেষ হয়ে আসছে।” সবমিলিয়ে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা এখন এক ভয়ংকর মোড় নিয়েছে, যা শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বিশ্ব রাজনীতিতেও বড় প্রভাব ফেলতে পারে।