শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নতিতে সরকারকে অভিনন্দন ও এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফলাফল মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শুধু গ্রেডিং পদ্ধতি নয় মোট নম্বরের দিকেও দৃষ্টি দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়ে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবরে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকালে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ রোজাই রাফিন সরকারের হাতে এ স্মারকলিপি তুলে দেন জাতীয়তাবাদী গণদাবী পরিষদ (এনজিপি) এর নেতৃবৃন্দ।
স্মারকলিপিতে বিগত ১৭ বছরের ফ্যাসিষ্ট সরকারের শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার শিক্ষার সুষ্ট পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য বর্তমান সরকার বাহাদুরকে আন্তরিক অভিনন্দন জনান।
স্মরকলিপিতে উল্লেখ করা হয়- বিগত সরকারের ক্যারিয়ার বিহীন কারি-কলামে পরীক্ষা দিয়েছে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। প্রতি বছরেই পরীক্ষা খাতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা থাকে। এবার হয়েছে এর ব্যতিক্রম। বাংলাদেশ আন্ত: শিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার এহসানুল কবিরের ভাষ্য অনুযায়ী যানা যায়, এ বছর পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা ছিল না। এ বছর গণহারে ছাত্র-ছাত্রী ফেল করায় বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া থেকে ঝড়ে পরবে এবং অনেক ভালো মেধাবী ছাত্র লেখা-পড়া থেকে নিরুৎসাহিত হবে। এই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী বিগত সরকারের ক্যারিয়ার বিহীন কারিকুলাম, শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য ও তাদের মনগড়া শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা। এ বছর পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা থেকে দেখা যায় এক ছাত্র মোট মার্ক কম পেয়েও (এ+) জিপিএ ৫ পেয়েছে। আরেক ছাত্র মোট মার্ক বেশি পেয়েও গ্রেডিং পদ্ধতির জন্য সে একটি বিষয়ে ৭৬ নম্বর অর্থ্যাৎ ৪ নম্বর কম পাওয়ায় ভালো ফলাফল করতে পারেনি। সে এদিকে ৪ নম্বর কম পাওয়ার জন্য জিপিএ ৫.০০ অর্জন না করায় হয়তো ভালো কলেজে আবেদন করার সুযোগ পাবে না। এই ৪ নম্বর কম পাওয়ায় সে ভালো মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে না। এতে করে সে হতাশাগ্রস্ত হয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনে বাধা প্রাপ্ত হবে। আমরা গ্রেডিং পদ্ধতির পূর্বে ও দেখেছি কোনো ছাত্র গড়ে ৬০% নম্বর পেলে ১ম বিভাগ, ৪৫% নম্বর পেলে ২য় বিভাগ, ৩৩% নম্বর পেলে ৩য় বিভাগ। এর পরেও সবোর্চ্চ মার্কধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হতো। যেমন সবোর্চ্চ ৬০০ নম্বর পেলে ১ম বিভাগ, ৪৫০ নম্বর পেলে ২য় বিভাগ, ৩৩০ নম্বর পেলে ৩য় বিভাগ। তাই এ বছর পরীক্ষায় যে সমস্ত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা সামান্য পয়েন্টের জন্য জিপিএ ৫ (এ+) অর্জন করতে পারে নি, অন্তত তাদের ক্ষেত্রে খাতা পূন:নিরিক্ষণের সময় উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের স্বার্থে জুলাই-আগষ্ট/২৪ এর মূল্যবোধের চেতনার স্বার্থে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করে দেশ গড়ার লক্ষ্যে মানবিক দিক বিবেচনা করে নাম্বারিং বিষয়টি পূর্ণবিবেচনার জন্য বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের নিকট দেশের সর্বস্থরের জনতার পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়। যে সমস্থ ছাত্র/ছাত্রী এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে এ সমস্থ ছাত্র/ ছাত্রীদের কে প্রমোশন দেওয়ার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।
স্মারকলিপিতে- ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ উচ্চ শিক্ষার দিক বিবেচনা করে সিলেট সহ সকল বোর্ডের ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার ফলাফল পুন:নিরিক্ষণের ক্ষেত্রে শিক্ষা বান্ধব দেশ দরদী সৃজনশীল শিক্ষা উপদেষ্টা ও সরকারের নিকট দেশের আপামর জনতার পক্ষ থেকে উপরোক্ত বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য সরকারের নিকট অনুরোধ জানানো হয়।
এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফলাফলে মোট নম্বরেরদিকে দৃষ্টি দিতে এনজিপি’র স্মারকলিপি প্রদান
RELATED ARTICLES