জুলাই অভ্যুত্থানে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। গুলির সামনে বুক পেতে শহীদ হয়েছিলেন তাদের অনেকেই। বিশেষ করে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার সড়ক মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের রক্তে লাল হয়েছিল।
সেই আত্মত্যাগকে স্মরণে সোমবার (২১ জুলাই) রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন হবে ‘মাদ্রাসা রেজিস্ট্যান্স ডে’।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে দিবসটি পালন হবে। সে জন্য সমন্বিতভাবে কর্মসূচি ঠিক করা হয়েছে। যাত্রাবাড়ীর ইবনে সিনা হাসপাতালসংলগ্ন রাজপথে অনুষ্ঠান আয়োজনের জোর প্রস্তুতি চলছে।
এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সরকার মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের এই বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার। তার পাশাপাশি থাকবেন আরও কয়েকজন উপদেষ্টা, সচিব এবং শিল্প, সাহিত্য ও শিক্ষা অঙ্গনের গুণী ব্যক্তিরা।
এ দিন বিকেল ৩টায় ‘মাদ্রাসা রেজিস্ট্যান্স ডে’ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে, যা চলবে রাত ১১টা পর্যন্ত। পুরো আয়োজনে থাকবে শহীদ পরিবারগুলোর স্মৃতিচারণ, আহতদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা এবং ২০১৩, ২০২১ ও ২০২৪ সালের ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের প্রামাণ্য উপস্থাপনা।
আয়োজনে থাকবে কবিতা আবৃত্তি, হামদ, নাত ও নাশিদ পরিবেশনা এবং প্রতিবাদের গান। দেখানো হবে দুটি প্রামাণ্যচিত্র— ‘ছত্রিশে জুলাই’ ও ‘সাদা জোব্বা, লাল রক্ত’। পাশাপাশি উপস্থাপিত হবে ‘প্রতিরোধ ও পুনর্জাগরণের প্রতীকী পরিবেশনা’ এবং ড্রোন প্রদর্শনী। সময় সময় মুখরিত হবে যাত্রাবাড়ীর রাজপথ, সেই উত্তাল জুলাইয়ের জ্বালাময়ী স্লোগানে।