প্রশাসনের কাছে বার বার গিয়ে পাচ্ছেন না সহযোগি
সিলেটে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে সু-সংগঠিত করতে কাজ করছেন শাহানা বেগম শানু এমন অভিযোগ করে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (বিএমজেএ) সিলেট বিভাগীয় কমিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন কবরেছেন এক ব্যবসায়ী ও শিক্ষানবিশ আইনজীবি।
তিনি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের মৃত ইদ্রিছ আলী লোকমান হোসেন সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, পালাতক সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী অত্যন্ত আস্থাবাজন হিসেবে পরিচিত শাহানা বেগম শানু। তার ছেলে ও দেবর মো. নুরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত। তাদের পরিবারের নির্যাতনের নিপীড়নের বিষয়ে এই নিয়ে তিন বার সংবাদ সম্মেলন করেছি। কিন্তু কোনো সুরাহা পাচ্ছি না। প্রশাসনও তাকে কোনো ভাবে সহযোগিতা করছে না। শানু একদিকে আওয়ামী লীগ মনে প্রাণে করলেও বর্তমানে নিজেকে বাঁচাতে নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপিতে যোগ দিয়েছে। এনসিপির বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও নিয়মিত যোগ দিচ্ছে। শানু একজন খারাপ মহিলা। সে তার সম্মানের কথা চিন্তা করবে না যেকোনো ধরনের অশ্লীল কাজ করে ফেলবে, সেজন্য ভয়ে কেউ কথা বলতে চান না। লোকমানের মালিকানাধীন বাসা যে বাসাটি শানু-নুরুল বাহিনী জোরপূর্বক দখল করে আছে, সেই বাসায় প্রত্যেক দিন রাতে আওয়ামীলীগকে সু-সংগঠিত করতে গোপন মিটিং হয়।
দীর্ঘদিন যাবত শানু-নুরুল ভূমিখেকো চক্রর হয়রানীতে শিকার হচ্ছে লোকমানের পরিবার। শাহানা বেগম শানু ও তার দেবর আওয়ামী লীগ নেতা মো. নুরুল ইসলাম এবং ছেলে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী রায়হান ইসলাম, রেদওয়ান ইসলাম ও তাদের সহযোগি রিপন তালুকদার বিভিন্নভাবে হয়রানী করছে এবং বাসা দখল রেখে চাঁদাদাবী দাবী করে আসছে।
সন্ত্রাসীরা চাঁদাদাবীর অংশ হিসেবে ১০/০১/২০২৫ইং তারিখে লোকমানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে ১৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করিলে বিগত ২০/০১/২০২৫ইং তারিখে এসএমপির কোতোয়ালী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর থানায় মামলা রেকর্ড হয়। কোতয়ালী থানার মামলা নং-৪৬, তারিখ- ২১/০১/২০২৫ইং যাহা কোতয়ালী থানার জি.আর মামলা নং-৪৬/২৫ইং, ধারা: ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩৮৫/৫০৬ দঃ বিঃ রেকর্ড হয়। মামলার আসামীগণ মাননীয় আদালত হইতে বিগত ২৭/০১/২০২৫ইং তারিখে জামিন প্রাপ্ত হয়। জামিন প্রাপ্তির হওয়ার পর থেকে ফেইসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লোকমানের নামে বিভিন্ন ধরণের কু-রুচিপূর্ণ ও মানহানিকর লেখালেখি এবং প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে আসছে শানু-নুরুল বাহিনী। বিগত ০৩/০২/২০২৫ইং তারিখ রাত্রী অনুমান ৯ ঘটিকার সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশে রাস্তায় লোকমানকে পেয়ে হুমকি দিয়ে সন্ত্রাসীরা প্রাণে হত্যার। শানু ছেলে লোকমানের স্ত্রীর মোবাইলে একটি বিদেশী অস্ত্রের ছবি দিয়ে হুমকি প্রদান করে লিখে লোকমানকে এই অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করবে। শানু একজন প্রতারক সে ৫ম শ্রেণির পাস হয়ে সিসিকের নির্বাচনে ৮ম শ্রেণির পাস বলে অংশ গ্রহণ করেছে। তার ছেলে ছাত্রলীগ ক্যাডার রেদওয়ান ইসলামও জাল এইচএসসি সার্টিফিকেট দিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনে শানু কাউন্সিলর থাকাকালিন সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওয়ার্ড সচিবের চাকরির নেয়। বর্তমানেও সে ৩০ হাজার টাকা বেতন পাচ্ছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তার আরোও বড় ধরনে আরেকটি প্রতারনা হচ্ছে তার ছেলে দৃষ্ঠি প্রতিবন্ধী না, যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তে প্রমাণিত। তারপরও প্রতিবন্ধী বলে নাটক সাজিয়ে আদালত থেকে জামিন নেয়। ছেলে যদি প্রতিবন্ধী হয় তা হলে সে কি ভাবে মটর সাইকেল ড্রাইভিং করে এই নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। তাহাদের কার্যকলাপে লোকমানের পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট্রদের কাছে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের হাত থেকে মুক্তি এবং নিজের পরিশ্রমের টাকা দিয়ে ক্রয়কৃত বাসা ফেরতে সহযোগিতার জন্য অনুরোধ জানান লোকমান।