Sunday, October 19, 2025
Homeআন্তর্জাতিকফিলিস্তিনি সংগ্রামের অনন্য দর্শন ‘সুমুদ’

ফিলিস্তিনি সংগ্রামের অনন্য দর্শন ‘সুমুদ’

ইসরায়েলের অবরোধ ভেঙে সাগরপথে গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর প্রচেষ্টা ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ গত সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল। বহরের ত্রাণবাহী জাহাজগুলো আটকে দিয়ে দেশটি আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়েছে।

বহরের নৌযানগুলোতে বিভিন্ন দেশের মানবাধিকারকর্মীরা ছিলেন, যাদের অনেককে আটক করা হয়েছে। এর আগেও ইসরায়েল গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী নৌবহর আটকেছে। তবে এবারের ত্রাণ অভিযান ‘সুমুদ’ শব্দটিকে আবারো সামনে এনে দিয়েছে।

ইসরায়েলি নিপীড়নের শিকার ফিলিস্তিনিদের যন্ত্রণার গল্প থেকে আসা এক অনুপ্রেরণা, এক দর্শনের নাম সুমুদ। এই গল্পের শুরুটা হয়েছিল ‘নাকবা’ থেকে। তখন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি তাদের ঘরবাড়ি হারান। এরপর তাদের ঠাঁই হয় তাঁবুতে। পরবর্তী কয়েক বছর তাদের কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

সেই থেকে ফিলিস্তিনিরা একইভাবে শুনিয়ে আসছেন, কীভাবে তাদের জমি কেড়ে নেওয়া হলো, তাঁবুতে জীবন কাটল এবং কীভাবে বিপদের মধ্যেও তারা টিকে থাকলেন, সেসব কাহিনী। যুগে যুগে যন্ত্রণার ধরন পাল্টালেও মূল গল্পটা একই। আর এই গল্প থেকেই এসেছে দৃঢ়তা, ধৈর্য আর লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা— সুমুদ, যা ফিলিস্তিনি সংগ্রামের অনন্য মানসিকতা ও দর্শন।

যেভাবে এলো সুমুদ

১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিণামকে আরবি ভাষায় বলা হয় ‘নাকবা’, অর্থাৎ মহাবিপর্যয়। নাকবা কেবল রাজনৈতিক ঘটনা নয়, এটি এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। এটি ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠার সঙ্গে জড়িত। তখন ৫৩০টিরও বেশি শহর ও গ্রাম সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয় এবং লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি তাদের ঘরবাড়ি ও জীবন হারান।

এরপর ১৯৬৭ সালে ঘটে আরেকটি বিপর্যয়, যা ‘নাকসা’ হিসেবে পরিচিত, এর অর্থ ‘পশ্চাদপসরণ’। এতে ফিলিস্তিনিরা পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুজালেমসহ নতুন অংশ হারান। পাশাপাশি অন্যান্য আরব দেশের কিছু অংশও ইসরায়েলের দখলে চলে যায়, যেমন সিনাই উপদ্বীপ ও গোলান মালভূমি।

এই নাকবা ও নাকসার অভিজ্ঞতা ফিলিস্তিনিদের শেখায়, ভূমি ছেড়ে যাওয়া কোনো সমাধান নয়। এই বাস্তবতা থেকেই জন্ম নেয় এক অনন্য জীবনদর্শন— সুমুদ। এর বাস্তব রূপ দেখা যায় ফিলিস্তিনিদের দৈনন্দিন জীবনে।

যখন ইসরায়েলি বাহিনী ঘরবাড়ি ধ্বংস করে, তখন ফিলিস্তিনিরা সেই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন—’এই ভূমি আমার, আমি এখানেই থাকব।’ যখনই ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা জলপাই গাছ পুড়িয়ে দেয়, তখন তারা আবার নতুন করে গাছ রোপণ করেন।

ষাটের দশকের শেষ থেকে শুরু করে পুরো সত্তর দশকে সুমুদ হয়ে ওঠে ফিলিস্তিনি জাতীয়তার প্রতীক। সেই সময়ে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশন (পিএলও) এ নিয়ে ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালায়।

আন-নাজাহ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানান, সুমুদ গড়ে ওঠে ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘস্থায়ী দখল ও বাস্তুচ্যুতির অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে, যা শুরু হয় ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর এবং পরবর্তী সময়ে ১৯৬৭ সালের মতো যুদ্ধগুলোতে।

কানাডিয়ান প্যালেস্টিনিয়ান সোশ্যাল অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজক নেহাল আলতরহুনি বলেন, ‘সুমুদকে আমরা কেবল দখলদারিত্ব, নৃশংসতা ও বর্ণবাদ প্রতিরোধের মধ্যেই দেখি না, বরং এটি আমাদের জীবনযাপনের ধরনেও প্রতিফলিত হয়।’

বিদেশে নির্বাসিত জীবনযাপন করা আলতরহুনি জানান, সুমুদ হলো সেই দৃঢ় সুতা, যা তাকে তার পরিবার, ধর্ম এবং ইসরায়েলি দখলবিরোধী প্রতিরোধের সঙ্গে বেঁধে রাখে।

এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি আমাদের সংস্কৃতি হলো সুমুদ। আমাদের শিল্প সুমুদ। আমাদের আনন্দও সুমুদ। পরিবারে সময় কাটানোও সুমুদ— বিশেষ করে যখন ইসরায়েলি দখলদারত্ব ও বর্ণবাদের লক্ষ্য একে ধ্বংস করা।’

শাব্দিক ও ব্যবহারিক অর্থ

আরবি ক্রিয়া ‘সামাদা’ (অটল থাকা, সহ্য করা) থেকে ‘সুমুদ’ শব্দটি এসেছে। এর মানে হলো বিপদের মুখে অদম্য থাকা।

বেশিরভাগের মতে, শব্দটির ইংরেজিতে যথাযথ অনুবাদ নেই। সবচেয়ে কাছাকাছি অর্থ হতে পারে দৃঢ়তা, অবিচল থাকার মনোভাব কিংবা সহনশীলতা। প্রকৃত অর্থ অবশ্য এসব শব্দের চেয়েও গভীর। এতে আছে রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, আধ্যাত্মিক এবং অস্তিত্বগত প্রতিরোধের বার্তা।

সুমুদকে প্রায়ই জলপাই গাছ কিংবা সন্তানসম্ভবা গ্রামীণ নারী হিসেবে প্রতীকায়িত করা হয়। ফিলিস্তিনিদের জন্য জলপাই গাছ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এটি গ্রামাঞ্চলের জীবনের অংশ। দশকের পর দশক ধরে ইসরায়েলি বাহিনী ও বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের জলপাই গাছ ধ্বংস করেছে, বিশেষ করে ১৯৬৭ সালে পশ্চিম তীর ও গাজা দখলের পর।

ফিলিস্তিনিরা যখন আবার জলপাই গাছ রোপণ করেন, এটি তাদের সুমুদের চর্চা হিসেবে দেখা হয়। অন্যদিকে সন্তানসম্ভবা গ্রামীণ নারীরা ইসরায়েলি দখল, উচ্ছেদ ও সংকটের মধ্যে থেকেও জীবনধারা টিকিয়ে রাখেন। তারা শুধু নিজের সন্তানই জন্ম দেন না, বরং ভূমি, পরিবার ও সংস্কৃতির সঙ্গে তাদের সংযোগ বজায় রাখেন। আর এই দিক থেকেই তারা সুমুদের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

অনেক ফিলিস্তিনির কাছেই সুমুদ দুই ধরনের। প্রথমটি হলো অটল বা ধ্রুব সুমুদ, যেখানে মূল উদ্দেশ্য হলো ফিলিস্তিনি ভূমিতে টিকে থাকা; বিশেষ করে ইসরায়েলি দখল ও বসতি স্থাপনের চাপের মধ্যেও।

দ্বিতীয়টি হলো—প্রতিরোধমূলক সুমুদ, যা আরও সক্রিয় প্রতিরোধকে তুলে ধরে। এতে অন্তর্ভুক্ত থাকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ, প্রতিবাদ, কর না দেওয়ার মতো কর্মকাণ্ড। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৩ সালের প্রথম ইন্তিফাদা বা ফিলিস্তিনি বিদ্রোহের সময় এ ধরনের সক্রিয় প্রতিরোধমূলক সুমুদ লক্ষ্য করা গিয়েছিল।

শিল্প-সাহিত্যে সুমুদ

ফিলিস্তিনি আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী ও লেখক রাজা শেহাদের কাজের সঙ্গে সুমুদ ধারণাটি ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। শেহাদে আশির দশকে পশ্চিম তীরের জীবন নিয়ে লেখা তার ডায়েরিতে সুমুদকে উপস্থাপন করেছেন ‘তৃতীয় পথ’ হিসেবে। এটি ইসরায়েলের নিপীড়নের বিরুদ্ধে এমন এক প্রতিরোধের পথ, যা নীরব আত্মসমর্পণ এবং অন্ধ ঘৃণার মাঝামাঝি অবস্থান করে। এতে না আছে সহিংস প্রতিরোধ, না আছে নিষ্ক্রিয়ভাবে মেনে নেওয়া।

শেহাদে তার ‘দ্য থার্ড ওয়ে (১৯৮২)’ বইয়ে লেখেন, ‘তুমি দেখো তোমার ঘর ধীরে ধীরে একটি কারাগারে পরিণত হচ্ছে। তবুও তুমি সেই কারাগারে থাকাটাকেই বেছে নাও, কারণ এটি তোমার ঘর এবং তুমি ভয় পাও যে, বাইরে গেলে তোমাকে আর কখনো ফিরে আসার অনুমতি দেওয়া হবে না— এই মনোভাবই সুমুদ।’

সমকালীন ধারণায় সুমুদ আরও বিস্তৃত। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়— ‘সুমুদ: অ্যা প্যালেস্টানিয়ান রিডারে’র কথা। এটি ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ নিয়ে তিন শতাধিক লেখকের সংকলন। বইটির ভূমিকা অনুযায়ী, সুমুদ ‘ইসরায়েলি দখলের মধ্যে প্রতিদিনের দৃঢ় অধ্যবসায়ের ফিলিস্তিনি সাংস্কৃতিক মূল্যকে বোঝায়।’

‘সুমুদ হলো ব্যক্তিগত ও সম্মিলিত এক প্রতিশ্রুতি; যেখানে মানুষ নিজের জীবন নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখে, এমনকি ক্রমাগত নিপীড়নের পরিবেশের মধ্যেও।’

স্লিমান মানসুর ফিলিস্তিনি চিত্রশিল্পী। তার চিত্রকর্মগুলোতে এক ধরনের শান্ত ধৈর্য প্রকাশ পায়, যা চিৎকার করে নজর আকর্ষণ করার বদলে মানুষকে ভাবতে বাধ্য করে। তার চিত্রকর্ম বিশ্বজুড়ে সুমুদ ধারণাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছে।

একবার আল জাজিরায় এক সাক্ষাৎকারে মানসুর বলেন, ‘ইংরেজিতে সুমুদের অর্থ হলো অটল থাকা। আমার কাছে সুমুদ মানে আমরা কারা তা ভুলে না যাওয়া এবং আমাদের মুক্তির জন্য সবসময় লড়াই করা। ইসরায়েলের দাবিতে মাথা নত না করা। এই ভূমিতে থাকতে চাইলে আমাদের দ্বিতীয় শ্রেণির মানুষ হয়ে থাকতে হবে, মূলত এটিই ইসরায়েল আমাদের থেকে চায়। সুমুদ মানে আমি এতে রাজি নই। আমি এর বিরুদ্ধে লড়াই করব। সংক্ষেপে, এটিই সুমুদের অর্থ।’

প্রতিরোধ ও মানবিক মর্যাদার বার্তা

অধিকৃত বেথেলহেমে ইসরায়েলের প্রতিবন্ধক ও তল্লাশি চৌকি ফিলিস্তিনিদের দৈনন্দিন জীবনকে কঠিন করে তুলেছে। তারা কাজে যেতে, স্কুলে পৌঁছাতে বা পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে অনেক সময় হারান। তবুও তারা এসব বাধার মধ্যেও নিজেদের ঘরবাড়ি, সংস্কৃতি ও পরিচয় ধরে রাখেন।

তাদের দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতি ও মুরাল শুধুই শিল্প নয়— এটি সুমুদ, অর্থাৎ সংকটের মধ্যেও অটল থাকা এবং নিজের অস্তিত্ব রক্ষা করা। এই শিল্পের মাধ্যমে তারা শান্তি, আশা, প্রতিরোধ ও মানবিক মর্যাদার বার্তা পাঠায়। প্রতিবন্ধক ও তল্লাশি চৌকিগুলো জীবনকে যতটা বাধাগ্রস্ত করে, শিল্পের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিরা দেখিয়ে দেন যে, তারা এখনো দৃঢ়, শক্তিশালী ও জীবন্ত।

প্রথম ইন্তিফাদা, অর্থাৎ ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত চলা ফিলিস্তিনিদের গণবিদ্রোহ শুধু রাজনৈতিক আন্দোলন নয়— এটি অবিচল থাকার প্রতীকও বটে। তখন ফিলিস্তিনিরা গান, কবিতা, পোস্টার আর গ্রাফিতির মাধ্যমে তাদের আত্মবিশ্বাস এবং প্রতিরোধের মনোবল প্রকাশ করেন। শোকানুষ্ঠান, বিয়ে বা রাস্তার সমাবেশেও তারা ঐক্য ও দৃঢ়তার বার্তা ছড়াতেন।

অবশ্য আজকের দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফিলিস্তিনিরা তাদের শৈল্পিক ঐতিহ্যকে নতুন মাত্রা দিচ্ছেন। তাদের গল্প, বিপ্লব, প্রতিরোধ— সবই ডিজিটাল মাধ্যমে জীবন্ত। কঠিন পরিস্থিতিতেও অটল থাকার সেই মনোবল, এখনো তাদের সংগ্রামের শক্তি এবং পরিচয়ের মূল ভিত্তি।

বিধ্বস্ত গাজায় ক্যালিগ্রাফিতে সুমুদ

ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকা এখন ধ্বংসস্তূপ। মৃত্যু, ধ্বংসের মধ্যেই গাজার ফিলিস্তিনিদের দৈনন্দিন পথচলা। সেখানকার বাসিন্দারা শত হামলা, নানা সংকটের মধ্যেও ভূমি ছেড়ে অন্যত্র যেতে চান না।

৩৫ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি শিল্পী আইমান আল-হোসারি এই ধ্বংস আর মানুষের কষ্ট দেখে বসে থাকতে পারলেন না। একদিন তিনি ঠিক করলেন, ধ্বংসকে শুধু দেখার বদলে তার ওপর নতুন অর্থ দেওয়া হবে।

তুলি, কাপড় আর যন্ত্রণা থেকে পাওয়া অনুপ্রেরণা নিয়ে তিনি সবচেয়ে কাছের ধ্বংসস্তূপের দিকে এগিয়ে গেলেন এবং আঁকা শুরু করলেন। তার তুলি থেকে ধ্বংসস্তূপের ভাঙা দেয়ালে একের পর এক আছড়ে পড়ল চারুলিপি বা ক্যালিগ্রাফিতে লেখা- সত্যই আমার যুদ্ধের অস্ত্র, আশা, জীবনের মতো শক্তিশালী শব্দ।

ফিলিস্তিনি কবি তামিম বারগৌতির কবিতার বিভিন্ন লাইনও ধ্বংসস্তূপে লেখা আছে, যাতে ফুটে ওঠা ব্যঙ্গাত্মক ভাব ও দুঃখ অদ্ভুতভাবেই আশপাশের ধ্বংসের দৃশ্যের সঙ্গে মিলে যায়।

আল-হোসারি বলেন, ‘প্রতিদিন এভাবে ধ্বংস দেখা মানুষকে মানসিকভাবে প্রভাবিত করে। আমি চেয়েছিলাম ভাঙা পাথর আর ভেঙে পড়তে থাকা দেয়ালকে অন্যরূপে উপস্থাপন করতে।’ 

ধ্বংসস্তূপে ঝুঁকি আছে জেনেও আল-হোসারি বলছিলেন, ‘আমি ধ্বংসের ওপর আশা আঁকতে থাকব। পৃথিবী দেখুক গাজা ধ্বংস আর মৃত্যুর মধ্যে আটকে থাকবে না। এখানকার মানুষ ধ্বংসস্তূপের মাঝেও জীবন খুঁজে নেবে।’

ফ্লোটিলার আয়োজকদের কাছে সুমুদ মানে কী

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার মুখপাত্র সাইফ আবুকেশেক যাত্রার আগে এক সাক্ষাৎকারে জানান, তারা এই নামটি দেওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রতিরোধের ইতিহাস থেকে।

তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা গত ৭৮ বছর ধরে দখলের মধ্যে আছেন। এখন ইসরায়েলি গণহত্যার সময়েও তারা প্রতিরোধ করছেন, নিজেদের ভূমিতে অটল আছেন। প্রতিদিন তাদের চোখে জীবনের নতুন দিনের আশার আলোর দেখা মেলে।’

‘এটিই প্রতিরোধের শক্তি। এটিই সুমুদের অর্থ। তাই আমরা যে সমস্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হই, তা মোকাবিলা করার জন্য আমাদের প্রতিরোধের শক্তি থাকতে হবে এবং ফিলিস্তিনিদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিতে হবে।’

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় পোষ্ট