আনুপাতিক নির্বাচন কী, এটা জনগণ বোঝে না উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে এখন একটা জগাখিচুড়ি অবস্থা চলছে। কিছু কিছু রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতিতে নিবার্চনের কথা বলছে।
কিন্তু তারা জানেই না, পিআর পদ্ধতি কী?
শনিবার (২৬ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে জিয়া পরিষদ আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লব: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, জাতি একটা ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে পার হচ্ছে। আমরা অপেক্ষা করছি, একটা গণতন্ত্রের উত্তরণের পথে; যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত দেশের মানুষের জন্য কল্যাণকর হবে, সেটা নিরূপণ করা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের যে ক্ষতিটা করেছে, সেটা খুব কম সময়ে পূরণ হওয়ার নয়। বিচার বিভাগ, আইন, স্বাস্থ্য খাতসহ সবকিছু নষ্ট করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, তারা দীর্ঘ ১৫ বছর অত্যাচার নির্যাতন করে গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলোর স্ট্রাকচার ধ্বংস করেছে।
সংস্কারের প্রসঙ্গে টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্র মেরামতের জন্য ২০১৬ সালে ভিশন টুয়েন্টিথার্টি ঘোষণা করেন। এখন টেলিভিশন, টকশোতে যে সংস্কারের কথা হচ্ছে, এ বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের নেতা তারেক রহমান ২০২২ সালে ৩১ দফা দিয়েছেন। এটা দিয়ে দেশের আমূল রাজনৈতিক অর্থনৈতিক পরিবর্তন আনা সম্ভব।
তিনি বলেন, সংস্কার সহসাই হয় না। একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হতে হয়। আপনি চাইলেন, কালকে পুলিশ ঘুষ নেওয়া বন্ধ করে দেবে? এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। তবে এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে পুলিশ ঘুষ না খায়। আমাদের উন্নয়নের পথে আমলাতন্ত্র একটা বড় বাধা।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দেশ পরিচালনার জন্য জনপ্রতিনিধি দরকার। জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে গেলেই বলে বিএনপি শুধু নির্বাচন চায়। নির্বাচন কেন চাই? নির্বাচন না হলে আমি প্রতিনিধি পাব কোথা থেকে? পার্লামেন্টে যাবে কী করে, পার্লামেন্টে না গেলে জনগণের শাসনটা প্রতিষ্ঠিত হবে কী করে?
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, সবার আগে আমাদের বড় দরকার সততা, এই সততা ছাড়া বিএনপি কিন্তু জনগণের কাছে দাঁড়াতে পারবে না। আজকাল পত্রপত্রিকায় যে খবর আসে, এই খবরগুলো বিএনপির সঙ্গে যায় না। এই খবরগুলো জিয়াউর রহমানের সঙ্গে যায় না। সুতরাং অবশ্যই বিএনপি যারা করবেন, যারা জিয়াউর রহমানকে অনুসরণ করবেন, সবার আগে নিজেকে সৎ হতে হবে।